Sunday, 20 April 2014

কলকাতা নাইট রাইডার্স



কলকাতা নাইট রাইডার্স (সংক্ষেপে কেকেআরইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ নামক একটি টোয়েন্টি২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় কলকাতাশহরের প্রতিনিধিত্বকারী দলের নাম। এই দলের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর ও কোচ ট্রেভর বেলিস। দলের অফিসিয়াল থিম গান হল করব, লড়ব, জিতব রে এবং অফিসিয়াল রং হল কালো ও সোনালি। ভারতীয় নায়ক শাহরুখ খান এই দলের মালিক। কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল টুর্নামেন্টের সর্বাপেক্ষা ধনী দল।[১]


প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ কর্মী




প্রধান প্রশিক্ষক



Saturday, 12 April 2014

পয়লা বৈশাখ এর ইতিকথা।

পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটিবাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। সারা বিশ্বের বাঙালিরা এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমীকর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। পহেলা বৈশাখ রাত ১২ টা থেকে শুরু না সূর্যদোয় থেকে থেকে শুরু এটা নিয়ে অনেকের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, ঐতিহ্যগত ভাবে সূর্যদোয় থেকে বাংলা দিন গণনার রীতি থাকলেও ১৪০২ সালের ১ বৈশাখ থেকে বাংলা একাডেমী এই নিয়ম বাতিল করে আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে রাত ১২.০০টায় দিন গণনা শুরুর নিয়ম চালু হয়।[১]

                                                                                                                 উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে...

Thursday, 10 April 2014

"ভালবাসি, ভালবাসি" ___সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার
টেবিলে বসে আছ,
ঘুম আসছে না তোমার
হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম-
ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে?
নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ,
ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত..
খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত আমি তোমার
হাত ধরে যদি বলি- ভালবাস?
তুমি কি বিরক্ত হবে?
নাকি আমার হাতে আরেকটু
চাপ দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,
সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম শশব্যস্ত
হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
নাকি হেসে উঠে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,মাথার উপর
তপ্ত রোদ,বাহন
পাওয়া যাচ্ছেনা এমন সময় হঠাত দাঁড়িয়ে পথ
রোধ করে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে কাঁধে হাত
দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..

ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,
সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম শশব্যস্ত
হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
নাকি হেসে উঠে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,মাথার উপর
তপ্ত রোদ,বাহন
পাওয়া যাচ্ছেনা এমন সময় হঠাত দাঁড়িয়ে পথ
রোধ করে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে কাঁধে হাত
দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো শেভ করছ তুমি,গাল কেটে রক্ত পড়ছে,এমন
সময়
তোমার এক ফোঁটা রক্ত হাতে নিয়ে যদি বলি-
ভালবাস?
তুমি কি বকা দেবে?
নাকি জড়িয়ে তোমার গালের রক্ত আমার
গালে লাগিয়ে দিয়ে খুশিয়াল
গলায় বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো খুব অসুস্থ তুমি,জ্বরে কপাল পুড়েযায়,
মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার
অনুভুতি,
এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে তোমার
মুখের
দিকে তাকিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি চুপ করে থাকবে?নাকি তোমার গরম
শ্বাস আমার
শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..

ধরো যুদ্ধের দামামা বাজছে ঘরে ঘরে,প্রচন্ড
যুদ্ধে তুমিও অঃশীদার,
শত্রুবাহিনী ঘিরে ফেলেছে ঘর
এমন সময় পাশে বসে পাগলিনী আমি তোমায়
জিজ্ঞেস করলাম-
ভালবাস? ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও?
নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস
দেবে,বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ
তুমি,দেরি হয়ে যাচ্ছে,বেরুতে যাবে,হঠাত
বাধা দিয়ে বললাম-ভালবাস? কটাক্ষ করবে?
নাকি সুটকেস ফেলে চুলে হাত
বুলাতে বুলাতে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো প্রচন্ড ঝড়,উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,আশ্রয় নেই
বিধাতার দান এই
পৃথিবীতে,বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি
এমন সময় তোমার
বুকে মাথা রেখে যদি বলি ভালবাস?
তুমি কি সরিয়ে দেবে?
নাকি আমার মাথায় হাত রেখে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,
আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ
হতভম্ব আমি যদি চিতকার করে বলি-ভালবাস?
চুপ করে থাকবে?নাকি সেখান থেকেই
আমাকে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..
যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক,না থাকলেও দূর
থেকে ধ্বনি তুলো

মহাবীর আলেকজান্ডার

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার
সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,'আমার মৃত্যুর
পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে। আমার
প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,শুধু আমার চিকিৎসকরাই
আমার কফিন বহন করবেন। আমার ২য় অভিপ্রায়
হচ্ছে, আমার কফিন যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার
অর্জিত সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে আর শেষ
অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের সময় আমার দুইহাত
কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে থাকবে।'
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ শ্বাস
গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন, 'আমি দুনিয়ার
সামনে তিনটি শিক্ষা রেখে যেতে চাই।
• আমার চিকিত্সকদের কফিন বহন করতে এই
কারনে বলেছি যে যাতে লোকে অনুধাবন
করতে পারে যে চিকিত্সকেরা কোন
মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না।
তারা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর
থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।'
• 'গোরস্হানের পথে সোনা-
দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা বোঝান,
সোনা-দানার একটা কণাও আমার
সঙ্গে যাবে না। এগুলো পাওয়ার জন্য
সারাটা জীবন ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের
সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারছি না। মানুষ বুঝুক
এসবের পেছনে ছোটা সময়ের অপচয়।'
• 'কফিনের বাইরে আমার হাত
ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে পৃথিবীতে এসেছিলাম,আবার
খালি হাতেই পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি. . . . .l

আপনি যদি

আপনি বাসে সিট দখল করে,
আরামসে বসে আছেন।
একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যদি মেয়েটাকে বসতে না দেন, আপনার
নিজের
কাছেই খারাপ লাগবে। যতইহোক,
আপনি একটা তাগড়া জোয়ান, আর
মেয়ে মানুষ
দুর্বল। তাকে বসতে দেওয়া উচিত। আর
আপনি যদি দাঁড়িয়ে মেয়েটাকে বসতে দেন,
মেয়েটা এবং ৪ পাশের মানুষ ভাববে,
আপনে বোধহয় লুল পাবলিক।
মেয়ে দেখে মুগ্ধ
হয়ে সিট ছেড়ে দিসেন।
আপনার প্রেমিকার
সাথে আপনি যদি কাটছাট
কথা বলেন(কখন খাইছো, কখন
ঘুমাইছো ছাড়া আর কিছু না বলেন) ,
প্রেমিকা ভাববে, আমার
প্রেমিকটা রোমান্টিক না। আর
যদি কথায়
কথায় বলেন, জান! তোমাকেএই করতে মন
চায়,
সেই করতে মন চায়, প্রেমিকা ভাববে,
আমার
প্রেমিকটা তো দেখি পুরাই
লুচ্চা টাইপের।
ধরুন আপনি একটা মেয়ে স্টুডেন্ট পড়ান,
আপনি যদি নিয়মিত সেজেগুজে যান,
হাসিমুখে কথা বলেন, স্টুডেন্ট ভাববে,
"ভাইয়া" মনে হয় আমার
প্রতি কিছুটা দুর্বল।
আর যদি সাজুগুজু না করে যান,

অপ্রয়োজনীয়
হাসাহাসি না করেন, স্টুডেন্ট বলবে, এই
টিচারের কাছে পড়বো না।আনস্মার্ট
একটা।
কি আর বলবো!
পুরুষ জাতি ইজ ইন উভয়্সংকট!







Wednesday, 9 April 2014

মীনা





আমি বাবা মায়ের শতও
আদরের মেয়ে
আমি বড় হই, সকলের
ভালবাসা নিয়ে
আমার দুচোখে অনেক
স্বপ্ন থাকে
আমি পড়ালেখা শিখতে চাই।
যদি চার দেয়ালের
মাঝে কাটে সারাজীবন
তাহলে থাকবো, শুধু
বোঝা হয়ে
শিক্ষা আমায়
মুক্তি দেবে,
মুক্তি দেবে।
আমি তো কালকের
খুশি আর আশা
আমারও তো সাধ আছে,
আছে অভিলাষা
ঘরে বেঁধে রেখো না,
নিয়ে যাও এগিয়ে...
আমি বাবা মায়ের শত
ও আদরের মেয়ে
আমি বড় হই, সকলের
ভালবাসা নিয়ে
আমার দুচোখে অনেক
স্বপ্ন থাকে
আমি পড়ালেখা শিখতে চাই!!! 

Monday, 7 April 2014

সবার জীবনে এমন একজন......

প্রতিটা মানুষের জীবনে এমন একজন দরকার
যে তাকে শাসন করবে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত না খেলে জোর
করে খেতে পাঠাবে।
সামনে থাকলে মুখে তুলে খাইয়ে দিবে।
বৃষ্টিতে বেশি ভিজলে কপট চোখ দেখাবে। পর
মুহূর্তে বলবে, আচ্ছা যাও ভেজো।
জ্বর আসলে বলবে, ওষুধ না খেলে কিন্তু নেক্সট
এক উইক কথা বলবো না।
রাতে সময় মত ঘুমাতে না গেলে নিজের ফোন
বন্ধ রেখে বলবে,
চোখ বন্ধ। ঘুম চলে আসবে।
আমি বলে দিচ্ছি ঘুমকে চলে যেতে তোমার কাছে।
ব্যস্ত রাস্তা পার হওয়ার আগে অন্তত একবার
বলবে, সাবধানে পার হয়ো ?
প্রশ্ন না করে প্রতিটা কথা মন দিয়ে শুনে বলবে,
প্যাচাল অনেক হল। এবার মাথা থেকে ভুত নামাও
সব।
ফাইনালের আগে একটা কড়া ধমক,
ফেসবুকে দেখলে আমার আইডি থেকে ব্লক
করে দিব বলে দিলাম। পরে হাজার বললেও অ্যাড
করব না।
শাসন শুধু ভালবাসার মানুষ করবে এমনও না।
একজন বন্ধুও হতে পারে। "সে" হতে পারে।
"তুমি" হতে পারো।
একটা জীবন পার করতে সব সময়
সাথে থাকা মানুষটা হতে পারে।
সবার জীবনে এমন একজন থাকুক।
না আসলে আসুক।
যে তাকে তার প্রতিটা ভুলের জন্যে বাকি সবার
মত ভুল না বুঝে বলবে, ঘুরে আসি চলো কোথাও
থে